Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৮ জুলাই ২০২৪

অন্যান্য সেবার তালিকা

সেবার নাম বিবরণ 

খোলা বাজারে বিক্রয়

খাদ্যশস্যের বাজার দরে উর্দ্ধগতি রোধ এবং দরিদ্র ও নিম্নআয়ভুক্ত মানুষের কষ্ট লাঘবের লক্ষ্যে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ওএমএস কর্মসূচিতে চাল ও আটা বিতরণ করা হয়। এ কর্মসূচিতে মূলতঃ দরিদ্র ও নিম্নআয়ভুক্ত শ্রেণির মানুষ সাশ্রয়ী মূল্যে খাদ্য সহায়তা লাভ করে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বিভিন্ন সময়ে ঢাকা মহানগর, শ্রমঘন ৪টি জেলা (ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদী), অন্যান্য ১০টি সিটি কর্পোরেশন (চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও কুমিল্লা) এবং সকল জেলা সদর ও জেলা সদর বহির্ভূত ক, খ ও গ শ্রেণির পৌরসভায় ওএমএস কার্যক্রমে চাল ও আটা বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। ওএমএস কার্যক্রমে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে মোট ৫,৪৭,১৭৪ মে.টন চাল বিক্রয় করা হয়েছে।

ময়দা মিলের মাধ্যমে গম পেষণপূর্বক ওএমএস ডিলারের মাধ্যমে খোলাবাজারে আটা বিক্রয় খাদ্য অধিদপ্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম। এ কার্যক্রমের আওতায় গত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ২,৩০,১৫৫ মে.টন গমের প্রায় ১,৮১,৮২২ মে.টন ফলিত আটা বিতরণ করা হয়েছে (৭৯% রেশিও অনুযায়ী)।

খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি 

নিরন্ন মানুষের বিষন্ন মুখে ক্ষুধায় অন্ন তুলে দেওয়ার ব্রত নিয়েই খাদ্য অধিদপ্তরের পথ চলা। সে লক্ষ্যে অন্যান্য কর্মসূচির পাশাপাশি বর্তমানে খাদ্য অধিদপ্তর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভালবাসায় সিক্ত ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’ বাস্তবায়ন করছে। ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ- ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ।’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে গত ০৭/০৯/২০১৬ খ্রি. তারিখে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়।

 

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ পরিবার অর্থাৎ দেশের প্রায় ২.৫ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিধান করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ২০১৬ সাল থেকে ব্র্যান্ডিং কর্মসূচি হিসাবে দেশের পল্লি অঞ্চলের অতিদরিদ্র জনসাধারণকে স্বল্পমূল্যে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে কর্মাভাবকালীন (সাধারণত যে সময় গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে) ৫ মাস (মার্চ-এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর) প্রতিকেজি ১৫/- টাকা দরে মাসে ৩০ কেজি হারে চাল বিতরণ করা হয়েছে। গত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে ৬.৬২ লাখ মে.টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। এ কর্মসূচিতে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে হতে ২০২২-২০২৩ অর্থবছর পর্যন্ত সর্বমোট ৪৭.৬৮ লাখ মে.টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট লক্ষ্য যথা সময়ের আগেই অর্জনের ক্ষেত্রে এ কর্মসূচি বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।

এলইআই খাতে খাদ্যশস্য সরবরাহ

বাংলাদেশীয় চা-সংসদের আওতাভুক্ত চা-বাগানসমূহে কর্মরত গরিব ও দুঃস্থ শ্রমিকদের মাঝে ওএমএস দরে (প্রতিকেজি চাল ২৮/- টাকা এবং প্রতিকেজি গম ১৯/- টাকা) খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হয়। এ কর্মসূচিতে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ২,৯২৮ মে.টন চাল এবং ১৭,১৬৭ মে.টন গম বিতরণ করা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশীয় চা সংসদের আওতাভুক্ত ১০৬টি চা বাগানের শ্রমিকদেরকে এলইআই খাতে খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হচ্ছে।

পুষ্টিচাল বিতরণ

এসডিজি এর ১৭টি লক্ষ্য বা গোলের মধ্যে ২ নম্বর লক্ষ্য SDG-2 (Zero Hunger) এর পুষ্টি সংশ্লিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা (SDG Target 2.1, 2.2) অর্জনে খাদ্য বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ঠে (SDG) ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব/A Zero Hunger World by 2030. ‘নো পোভারটি’ও ‘জিরো হাঙ্গার’অর্জনের প্রত্যয় ঘোষিত হয়েছে এবং ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় দারিদ্র দূরীকরণের অভিপ্রায় ব্যক্ত করা হয়েছে। বর্তমান সরকার খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি পুষ্টি নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় দেশের অরক্ষিত (Vulnerable) অঞ্চলগুলোসহ চিহ্নিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিশুদের বামনতা ও ওজন স্বল্পতা হ্রাসের লক্ষ্যে খাদ্যভিত্তিক পুষ্টি কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারেও দেশের জনসাধারণের পুষ্টি নিশ্চিত করার বিষয়টি অধিকতর গুরুত্বের সাথে বাস্তবায়নের জন্য বলা আছে। এ প্রেক্ষাপটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সুনির্দিষ্ট টার্গেট গ্রুপ চিহ্নিত করে মাঠ পর্যায়ে পুষ্টি নিরাপত্তা বিষয়ক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠির পুষ্টি চাহিদা পূরণে খাদ্যবান্ধব ও ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে ভিটামিন এ, বি১, বি১২, ফলিক এসিড, আয়রন ও জিংক সমৃদ্ধ পুষ্টিচাল বিতরণ করা হচ্ছে।

বর্তমানে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে অনুমোদিত ২৫১টি উপজেলার মধ্যে ২৩৩টি উপজেলায় পুষ্টিচাল বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উক্ত ২৩৩টি উপজেলায় কার্নেলের মাসিক চাহিদা ৬৭৬.৯৪৪ মে.টন এবং পুষ্টিচালের চাহিদা ৬৮৩৭১.৩১৪ মে.টন। ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনুমোদিত ১৭০টি উপজেলার মধ্যে ১৬০টি উপজেলায় পুষ্টিচাল বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উক্ত ১৬০টি উপজেলায় ভিডব্লিউবি খাতে মাসিক কার্নেলের চাহিদা ১২০.১১৪ মে.টন এবং পুষ্টিচালের মাসিক চাহিদা ১২১৩১.০০৯ মে.টন। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের সকল উপজেলায় পুষ্টিচাল কার্যক্রম সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে।

প্যাকেট আটা বিক্রয়

পোস্তগোলা সরকারি আধুনিক ময়দা মিল হতে উৎপাদিত প্যাকেট আটা ঢাকা রেশনিং দপ্তর এর মাধ্যমে ঢাকা মহানগরের ওএমএস বিক্রয় কেন্দ্রে বিক্রি করা হচ্ছে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে পোস্তগোলা সরকারি আধুনিক ময়দা মিলের উৎপাদিত ৩,৬৮২ মে.টন প্যাকেট আটা ঢাকা মহানগরের ওএমএস কেন্দ্রে বিক্রি করা হয়েছে। এছাড়াও ঢাকা রেশনিং দপ্তর এর মাধ্যমে ইনোভেশন এর আওতায় ঢাকা মহানগরে (সচিবালয়ের অভ্যন্তরে, মতিঝিল ও আজিমপুর এবং আগারগাঁও সমবায় বাজারে) ৪টি বিক্রয় কেন্দ্রে বেসরকারি ময়দা মিলের ২ কেজির প্যাকেট আটা বিক্রির কার্যক্রম চলমান আছে।